মোঃ জাহাঙ্গীর আলম
স্টাফ রিপোর্টার
মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার চকমিরপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের বেশধারী প্রতারক মোঃ সিজান পিতা মোঃ আলমগীর হোসেন দীর্ঘদিন ধরে মানুষের নিকট হতে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। উল্লেখ্য যে আনুমানিক ৬/৭ মাস আগে সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম কে কাঁন্না সুরে বলেন যে, আমি একটা ট্রাক গাড়ি কিনবো জরুরি ভাবে এক লক্ষ টাকার প্রয়োজন, আপনি তো অনেক মানুষ কে সহযোগিতা করেন, তাহলে টাকাটা যে কোন উপায়ে সংগ্রহ করে দেন সাত দিন পরে এক লক্ষ টাকা ফেরত দেব। সাংবাদিক মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের কাছে টাকা না থাকায় দৌলতপুর উপজেলা আরব সংস্থা থেকে ১ লক্ষ টাকা নিজের নামে তুলে সিজানকে দিয়ে থাকি। এক লক্ষ টাকা সেজান হাতে পেয়ে বলেন আজ আমার একটা বড় একটা উপকার করলেন তবে আরব সংস্থার লভ্যাংশ সহ এক লক্ষ টাকা সাত দিনের মধ্যে ফেরত দিব। ধারের টাকা ফেরত চাইতে গেলে দিনের পর দিন মাসের পর মাস ঘুরাতে থাকে। গত দুই মাস আগে টাকা চাইতে গেলে সিজান বলেন আমি দৌলতপুর উপজেলা চেয়ারম্যানের নির্বাচন করতেছি নির্বাচন শেষে টাকা দিয়ে দিবো, উপজেলা নির্বাচন শেষ হতে না হতেই আবার টাকা চাইতে গেলে সিজান বলেন আমার চাচাতো ভাই সোহেল চকমিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের আসন্ন উপ নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত আছি, এভাবে নানান তালবাহানা করে আসছে দীর্ঘ সময় ধরে। আনুমানিক ১৫ দিন আগে সিজানের খালাতো ভাই বুলবুল ঘটনাটি জানতে পেয়ে ঐদিন মান্দারতা বাজারে সন্ধ্যাকালীন সময়ে টাকা ফেরত দেওয়ার শেষ একটা সময় ৩০/০৬/২০২৪ ইং তারিখ নির্ধারণ করে দেন টাকা পরিশোধের জন্য। কিন্তু ৩০/০৬/২০২৪ ইং তারিখে সিজান কে মুঠো ফোন দিলে তিনি নানান তালবাহানা করেন। পরবর্তীতে তার গ্রাম ঘুরে না পেয়ে দৌলতপুর উপজেলা জুড়ে খোঁজখোঁজি করার পর আনুমানিক দুপুর ১২.৩০ ঘটিকার সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২৫ বছরের এক ব্যক্তি বলেন যে, সিজান সোহেলের বাসায় আত্ম গোপন হয়ে আছে। পরবর্তীতে ঐ বালকটি আমাকে সোহেলের বাসায় নিয়ে যায়, বাসায় গিয়ে দেখতে পাই সিজান চিন্তিত মনে চেয়ারে বসা অবস্থান রত আছেন, সে আমাকে দেখে চোখ বুলিয়ে থাকে তাকে টাকার কথা উল্লেখ করলে সেজান কোন সদুত্তোর দিতে পারেনি । অপরদিকে দৌলতপুর উপজেলার চকমিরপুর গ্রামের মান্নান বলেন আমার দৌলতপুর উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সংলগ্ন পশ্চিম পাশে ছোট্ট একটা দোকান করি আমি সিজানের কাছে ১০০০ টাকার মত পাবো কিন্তু সিজান টাকা না দিয়ে বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখায় আর বলে টাকা আমার চাচাতো ভাই সুমন দিবে, তিনি আরও বলেন খোঁজ নিয়ে দেখেন আমার মত আরও ক্ষুদ্র দোকানদাররা সিজানের কাছে অনেক টাকা পাবে। পরবর্তীতে উভয়ন্তর না পেয়ে ঐদিন ০১/০৭/ ২০২৪ ইং তারিখ নিজে বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় অফিসার ইনচার্জ বরাবর অভিযোগ পেশ করা হয়। এ বিষয়ে ০৩/০৭/২০২৪ ইং তারিখে দৌলতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি সুমন কুমার আদিত্য কে জানালে তিনি বলেন ব্যবস্থা নেব।
Leave a Reply