মোঃ জাহাঙ্গীর আলম
স্টাফ রিপোর্টার
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলা পয়লা ইউনিয়নের বাসুদেব বাড়ি গ্রামে অসহায় হতদরিদ্র প্রতিবন্ধীর পাশে দাঁড়িয়ে চাঞ্চল্যকর ঘুষও দুর্নীতি নিউজ প্রকাশ হওয়ায় সাংবাদিক মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে রং নাম্বার থেকে ফোন করে নিয়ে ঘিওর সমাজসেবা অফিস স্টাফ ভয়ভীতি ও লাঞ্ছিত করেন । গত ২৫/০৬/২০২৪ই তারিখে ০২৯৯৬৬২৭২৫৫ নাম্বারে থেকে ঘিওর সমাজসেবা অফিস স্টাফ পারভেজ নাম পরিচয় দিয়ে ফোন করে সমাজ সেবা অফিসার জয়কৃষ্ণ সরকারের সাথে সাক্ষাতের জন্য অফিসে আসতে বলেন। সাংবাদিক জাহাঙ্গীর ঐ দিন কর্মব্যস্ততার জন্য যেতে না পারায় পরবর্তীতে ০১/০৭/২০২৪ ইং তারিখে আনুমানিক দিবাগত তিন ঘটিকার সময় ঘিওর সমাজসেবা অফিসে গেলে ৫ থেকে ৬ জন সমাজসেবা অফিস স্টাফ ভয়ভীতি প্রদর্শন ও লাঞ্ছিত করেন । তাদের আক্রমণাত্মক মনো ভাব দেখে দ্রুত সমাস সেবা অফিস থেকে বের হয়ে আসি। পরবর্তীতে উক্ত নাম্বারে ফোন দিলে ফোন রিসিভ করেন উজ্জ্বল নামে এক ব্যক্তি গ্রাম চরকাঞ্জর, উপজেলা মাদারগঞ্জ তিনি বলেন আমার নাম্বার থেকে ফরহাদ নামে এক লোক আপনাকে ফোন দিয়েছিল ঘিওর সমাজসেবা অফিসে যেতে, উল্লেখ যে ১২ ই জুন ২০২৪ ইং তারিখ আনুমানিক দুপুর ১২ ঘটিকার সময় প্রতিবন্ধী আমির হোসেন পিতা মাইনুদ্দিন শেখ, গ্রাম -বাসুদেব বাড়ি ঘিওর উপজেলা মাঠ প্রাঙ্গনে সাংবাদিক মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে দেখতে পেয়ে প্রতিবন্ধী আমির হোসেন বলেন ঘিওর উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন ছানু তিন বছর আগে প্রতিবন্ধী কার্ড বাবদ ৩ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছে প্রতিবন্ধী ভাতা দেওয়ার কথা বলে। ভূয়া প্রতিবন্ধী কার্ড বানিয়ে দেওয়ায় প্রতিবন্ধী ভাতা এখনো পাইনি। অপরদিকে পয়লা ইউনিয়নেন বাসুদেব বাড়ি গ্রামের বাক প্রতিবন্ধী আলিমের স্ত্রী বলেন আমাদের স্বামী- স্ত্রী দুইজনের কাছ থেকে প্রতিবন্ধী কার্ড বাবদ চার হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছে। প্রতিবন্ধী আমির হোসেন সাংবাদিক মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে বলেন নিউজ করার পর আমি ভাইরাল হওয়ায় ঘুষের তিন হাজার টাকা দ্রুত ফেরত দিয়েছে, প্রতিবন্ধী আমীর হোসেন বলেন ছানোয়ার হোসেন ছানু অন্য সাংবাদিক ডেকে জোরদোবস্ত করে কিছু সুবিধাবাদী মহিলা ও পুরুষ একএে করে আমাকেও বানিয়াঘোনা মোড়ে থেকে রিক্সায় জোর করে ধরে নিয়ে অন্য সাংবাদিক ডেকে মিথ্যা প্রতিবেদন দেয়ানো হয়েছে। তাহলে দেখুন জোরদোবস্ত সেই মিথ্যা প্রতিবেদন। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় বাসুদেব বাড়ি গ্রামে আরও অনেক মানুষের নিকট হতে প্রতিবন্ধী কার্ড, বয়স্ক কার্ড,বিধবা কার্ড বাবদ অনেক টাকা ঘুষ নিয়েছে। জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন ছানু। ঘুষ ও দুর্নীতির তদন্ত বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আমিনুল ইসলামকে জানালে তিনি বলেন দ্রুত তদন্ত করা হবে।
Leave a Reply