1. admin@dainikjanatarnews.com : jan@admin :
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মানিকগঞ্জ পৃথক স্হান হতে অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধার জাল দলিল চক্রের ছত্রছায়ায় সাব-রেজিস্ট্রার মেহেদী হাসান: মোটা অঙ্কের ঘুষে চিরিরবন্দরে বদলি! মডেল বানানোর প্রলোভনে তরুণীদের ফাঁদে ফেলছে রাশেদ শরীফ বিপ্লব: উঠতি বয়সের মেয়েদের নিয়ে অবৈধ দেহ ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ শিল্প ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের ‘নবাব’ সলিম উল্লাহর এক ডজন ফ্ল্যাট-প্লটের সন্ধান, দুদকের অনুসন্ধান শুরু যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের জন্য ০৮ জনকে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দৌলতপুরে ইউসুফ হত্যা মামলায় গ্রেফতার-২ দৌলতপুরে ব্যাডমিন্টন খেলা কে কেন্দ্র ইউছুপ শেখ কে পিটিয়ে হত্যা!  ঘিওরে ডেরা রিসোর্ট বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন মিঠাপুকুরে ১০ চাকার ডাম্প ট্রাক বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন মানিকগঞ্জের ঘিওরে রাতের আঁধারে তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কাটার তান্ডব

কোরবানির পশুর গোশত ভাগ করার বিধান

  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪
  • ৫৩৪ বার শেয়ার হয়েছে

প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের ওপর পশু কোরবানি ওয়াজিব। একজন সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য ১০ জিলহজ কোরবানির থেকে উত্তম আমল আর কিছু নেই।

এ প্রসঙ্গে রাসুল (সা.) বলেছেন, কোরবানির দিন আদম সন্তান যে আমল করে তার মধ্যে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল হলো কোরবানির পশুর রক্ত প্রবাহিত করা। কেননা, কোরবানির পশু কিয়ামতের দিন তার শিং, নাড়িভুঁড়ি ও চুল-পশম নিয়ে উপস্থিত হবে। আর তার রক্ত জমিনে পতিত হওয়ার আগেই আল্লাহর নিকট কবুল হয়ে যায়। অতএব তোমরা আনন্দের সঙ্গে তা পালন কর। (ইবন মাজাহ)

কোরবানি করা পশুর মাংস ভাগ করার একটি সুনির্দিষ্ট নিয়ম বা বিধান রয়েছে। মহানবি (সা.) কোরবানির পশুর মাংস ভাগ করার নিয়ম সুস্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন।

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুল (সা.) কোরবানির মাংস একভাগ নিজের পরিবারকে খাওয়াতেন, একভাগ গরিব প্রতিবেশীদের দিতেন এবং একভাগ দিতেন গরিব-মিসকিনদের।

এ প্রসঙ্গে কোরআনে আল্লাহতায়ালা বলেন, আর কাবার জন্য উৎসর্গীকৃত উটকে আমি তোমাদের জন্য আল্লাহর অন্যতম নিদর্শন করেছি। এতে তোমাদের জন্য মঙ্গল রয়েছে। সুতরাং সারিবদ্ধভাবে বাধা অবস্থায় তাদের জবাই করার সময় তোমরা আল্লাহর নাম উচ্চারণ করো। এরপর যখন তারা কাত হয়ে পড়ে যায়, তখন তা থেকে তোমরা আহার করো এবং আহার করাও; যে কিছু চায় না তাকে এবং যে চায় তাকেও। এমনিভাবে আমি এগুলোকে তোমাদের বশীভূত করে দিয়েছি, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পার। (সুরা হজ : আয়াত ৩৬)

এই আয়াত থেকে কোরবানির গোশত ৩টি ভাগে ভাগ করার একটি নির্দেশনা বা ইঙ্গিত পাওয়া যায়। তা হলো-

১. কোরবানি দাতা নিজেদের জন্য রাখবে তথা আহার করা।

২. আত্মীয়স্বজনদের এক ভাগ দেওয়া, যারা চায় না।

৩. যারা অভাবি বা গরিব; (যারা চায় এবং না চায়) তাদের এক ভাগ দেওয়া।

কোরবানির পশুর গোশতকে উল্লিখিত তিন ভাগে ভাগ করাকে মুস্তাহাব এবং উত্তম বলেছেন অধিকাংশ ইসলামিক স্কলার। তবে ভাগ করার ক্ষেত্রে কেউ কম-বেশি করলেও কোনো সমস্যা নেই। এমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই যে, এর ফলে কোরবানি হবে না বা কোরবানি নষ্ট হয়ে যাবে।

এ ছাড়া কারও প্রয়োজন হলে বা পরিবারের সদস্য বেশি হলে কোরবানির গোশত ভাগ না করে পুরোটা খেতে পারবে। তবে তিনটি ভাগে ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে উত্তম।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি